আমাদের সম্পর্কে
আধুনিক প্রযুক্তিতে মৌমাছি পালন ও মধু উৎপাদনে স্বাবলম্বী হয়েছেন সলিড হানির প্রতিষ্ঠাতা খুলনার ফুলতলার দামোদর গ্রামের আবুল কালাম সরদার । বর্তমানে প্রতি মওসুমে প্রায় দুইশ’ মন মধু উৎপাদন করেন শুধু নিজে স্বাবলম্বী নয়, অন্যদেরকেও স্বাবলম্বী করতে নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন ‘খুলনা মৌ-চাষী কল্যাণ সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত একটি সমিতি। বর্তমানে তার উৎপাদিত মধু দেশের সীমানা পেরিয়ে ভারত ও জাপানে রফতানি হচ্ছে।
০১-০৬-১৯৮৩ সালে শখের বসে মৌচাষ শুরু করেন তিনি ।১৯৮৪ সালে এসএসসি পরীক্ষা শেষে দামোদর গ্রামের মৃত আকাম সরদারের ছেলে আবুল কালাম সরদার বিসিক (বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প) এর আওতায় মৌমাছি পালন ও মধু উৎপাদন বিষয়ক দুই মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে মৌমাছিসহ একটি বাক্স প্রদান করা হয় । আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে লেখাপড়া বন্ধ করে শুরু করেন কর্মজীবন ।
পরিবারের হাল ধরতে ১৯৮৫ সালে বিসিকের আওতায় সতক্ষিরার তালা থানাতে সহকারি মৌমাছি প্রশিক্ষক হিসাবে চাকরিতে যোগদান করেন। ২০০২ সালে বিসিক থেকে ২৮ হাজার টাকা দিয়ে ১১টি বাক্স অর্থাৎ ৩৩টি ফ্রেম মৌমাছিসহ ক্রয় করেন। পরের বছর আরও ৩৫ বাক্স তৈরি করে মৌমাছি পালন ও মধু উৎপাদনে নেমে পড়েন ।ভাবে পর্যায়ক্রমে বর্তমানে এসে ২৫০ বাক্সে ফ্রেম সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আড়াই হাজারে। বার্ষিক মধু উৎপাদনের পরিমাণ দাড়িয়েছে দুইশ’ মণ।
সফল মৌচাষী আবুল কালাম বলেন, বিভিন্ন মওসুমে বিভিন্ন ফুল থেকে সংগ্রহকৃত মধুর রং, স্বাদে ভিন্নতা রয়েছে। ফলে দামও ভিন্ন। তার উৎপাদিক মধু দেশীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে এখন দেশের বাইরেও রপ্তানী হচ্ছে। ভারত গেল বছরে বাংলাদেশ থেকে ২শ’ টন এবং জাপান ৩শ’ টন অপরিশোধিত মধু আমদানী করে। তবে দেশে আধুনিক প্রযুক্তিতে প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্যাকেজিং ও সুষ্ঠু বাজারজাতের ব্যবস্থা না থাকায় স্বল্প মূল্যে বিদেশে রফতানি করতে হয়।
মৌ-চাষী আবুল কালাম সরদার নিজে স্বাবলম্বী হয়ে অন্যদেরকেও স্বাবলম্বী করতে নিজ উদ্যোগে নারী ও পুরুষ মিলিয়ে ৩৫ সদস্যের একটি পরিবার গড়ে তোলেন । যাদের প্রত্যেকের রয়েছে সল্প পরিসরে মৌচাষ। আবুল কালাম নিজেই তাদেরকে মৌমাছি পালন, মধু উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সকল কলা কৌশল হাতে কলমে শিখিয়েছেন। তার ছেলে মো. হাসানুল বান্না বয়স (২৮) বিএল কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করে পৈত্রিক ব্যবসাতে যোগদেন ।ব্যবসার পাশাপাশি মৌচাষে দক্ষতা অর্জন করায় বিসিক, যুব উন্নয়ন ও সমবায় অধিদপ্তরের প্রশিক্ষক হিসাবে বিভিন্ন কর্মশালায় প্রশিক্ষন দিচ্ছেন।
গত ১১ মার্চ ২০১৯ রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় আকামু গিয়াস উদ্দিন মিল অডিটরিয়ামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মীর নুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় মৌ মেলা-২০১৮ এবং ২০১৯ এ সলিড মধু এর স্বত্ত্বাধিকারী আবুল কালাম সরদার দ্বিতিয়,তৃতীয় স্থান অধিকারের গৌরব অর্জন করেন।
বছরের পর বছর ধরে, আমাদের পণ্য ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে। আমরা গর্বিত আমাদের গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের মধু অফার করতে পেরে, যা সম্পুর্ণ অর্গানিক ।আমরা উচ্চ মানের প্রাকৃতিক মধু অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমাদের পোর্টফোলিওটি প্রসারিত করেছি। আমাদের লক্ষ্য গ্রাহকদের নির্দিষ্ট প্রয়োজনের জন্য উপযুক্ত, বিভিন্ন পণ্যাদির পরিবেশন করা । অতএব, আমাদের পণ্যগুলি কেবল খাদ্য হিসেবই নয় কসমেটিকস এবং আরও অনেক কিছুতে ব্যবহৃত হয়। আমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আমাদের সম্মানিত গ্রাহকদের প্রতি । সলিড মধু প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা যে সুন্দর বিক্রয় অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি তা সত্যিই আমাদের আরো উধ্যমি করে গড়ে তুলেছে । নতুন চাহিদার সাথে খাপ খাইয়ে নিয়ে সলিড মধু ক্রমাগত সম্প্রসারণ করে চলেছে ।
আমাদের পণ্যগুলো হল:
– সরিষা ফুলের মধু
– কালোজিরা ফুলের মধু
– লিচু ফুলের মধু
– ধনিয়া ফুলের মধু
– মিশ্র ফুলের মধু
– সুন্দরবনের মধু
– কালোজিরার তেল
– সরিষার তেল
-কালোজিরা ইত্যাদি ।
সংক্ষেপে সলিড হানির বিজনেস ফিলোসফিঃ
আমাদের প্রচেষ্টা
শহর থেকে শুরু করে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত সকল ক্রেতাদের হাতের নাগালে আমাদের পণ্য পৌঁছে দেয়াই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য । এর পাশাপাশি নতুন উদ্যোগতাদের সফলভাবে গড়ে তুলতে আমাদের প্রতিষ্ঠান মৌমাছি পালন ও মধু সংগ্রহের উপর বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে । এর মাধ্যমে নতুন উদ্যোগতারা নিজেরা সফল হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্যদের কর্মসংস্থান তৈরি করে দেশের বেকারত্ব দূর করতে ভুমিকা রাখতে পারবে ।
ক্রেতাই প্রথম
আমাদের কাছে আমাদের ক্রেতার অবস্থান সবকিছুর উপরে । ব্যবসার পাশাপাশি ক্রেতার সন্তুষ্টিও আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । কোন ক্রেতা যদি আমাদের পণ্য হাতে পেয়ে সন্তুষ্ট না হন , আমরা সেক্ষেত্রে আমরা পণ্য ফেরত নিতেও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ । আমাদের সেবা হাজার হাজার মানুষের উপর প্রভাব ফেলে ।
সবাই গুরুত্বপূর্ণ
প্রতিটি ক্রেতাই আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ । কেউ কারো থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ নয় ।
ক্রেতার সন্তুষ্টি আমাদের সার্থকতা
আমাদের পণ্য ও সেবার গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্যগুলির মধ্যে গ্রাহকদের সন্তুষ্টি ( কাস্টমার স্যাটিস্পেকশন ) অন্যতম । গ্রাহকদের প্রতিটি ফিডব্যাক আমাদের টিম খুবই গুরুত্বের সাথে দেখে থাকেন । দিনশেষে প্রতিটি গ্রাহকের পজিটিভ ফিডব্যাক আমাদের আরও উদ্যমী করে গড়ে তুলেছে ।
আমাদের প্রতিশ্রুতি